ভা’রতের বাজারে কমতে শুরু করেছে সোনার মূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারে টানা দরপতনের পর দেশের বাজারেও কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। মূল্য কমতে থাকার কারনে মধ্যবিত্তদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে স্বস্তি।
করো’না শুরু হবার পর থেকে বিশ্ব বাজারে কিছুটা কম ছিল স্বর্ণের বাজার। তবে গত কয়েক মাস ধরে আবারও উর্ধ্বমুখি ভাব দেখা গিয়েছে এই ধাতবে। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ার পর এবার চলতি সপ্তাহে বেশ খানিকটা কমেছে সোনার দর।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইতোমধ্যে ২ শতাংশ দাম কমেছে সোনার। ফলে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হচ্ছে ১৮৬২ মা’র্কিন ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দরপতনের ফলে ভা’রতের বাজারে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার মূল্য কমেছে ৬ হ’জার টাকা পর্যন্ত। ফলে সোনার মূল্য কমে দাড়িয়েছে 45 হাজার টাকারও নিচে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জতাতিক বাজারে সোনার মূল্য বাড়ার ফলে ভা’রতের বাজারেও মূল্য বৃদ্ধি পেয়ছিল। তবে এখন সোনার মূল্য যেভাবে কমতে শুরু করেছে তা আগামী কয়েক মাস বজায় থাকতে পারে।
চলতি বছর জুড়েই মূল্য হ্রাসের প্রবণতা থাকতে পারে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। তবে আগামী বছরের শুরু দিকে কিছুটা দাম বাড়লেও সেটা যে খুবই স্বল্প পরিমানে বাড়তে পারে এমনটাও ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবারের বাজার দরের খবর অনুযায়ী দিল্লিতে প্রতি ১০ আউন্স সোনা বিক্রি হয়েছে 45 হাজার ৭৫০ টাকা। এমসিএক্সগোল্ড গোল্ড ফিচারে সোনার দাম কমেছে ১.২ শতাংশ। ফলে ১০ আউন্স সোনা বিক্রি হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৬৪ টাকায়।স্বর্ণের দাম এভাবে কমা’র কারনে অবশ্য স্বস্তি মিলেছে মধ্যবিত্তদের মধ্যে।
পূজো’র মৌসুমে সোনা কেনার চাহিদা যে হারে বাড়তে থাকে অনেক গুণ। দাম কমা’র কারনে তাই স্বর্ণ কেনার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাবে মধ্যবিত্তরা। প্রসঙ্গত, ভা’রতের বাজারে সোনার মূল্যের দাম নিম্নমুখি ছিল চলতি মাসের শুরু থেকেই। তখন স্বল্প পরিমানে কমলেও সেটা এখনও চলমান।